ফরিদপুর শহরকে ক্লিন সিটি হিসেবে গড়ে তোলা ও নদীর নাব্যতা এবং সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদের কচুরীপানা অপসারন করার অভিযান শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) সকাল ৭টায় কুমার নদের পৌর বিসর্জন ঘাটে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো:কামরুল আহসান তালুকদার।
এসময় পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো: ইশতিয়াক আরিফ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহাদাত হোসেন, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, ফরিদপুর মুসলিম মিশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এম এ সামাদ, সরকারী সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী গোলাম মোস্তফা, সরকারী ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল হক,পরিবেশ অধিদপ্তর,ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মো:সাঈদ আনোয়ার সহ ফরিদপুরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটস সহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও সাধারণ জেলে সম্প্রদায়ের সাথে শহরের কয়েক হাজার মানুষ কুমার নদে থাকা কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনা পরিস্কার কাজে অংশ নেয়।
কুমার নদের প্রতিমা বিসর্জন ঘাট থেকে শুরু করে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চরকমলাপুর মাদ্রাস ঘাট পর্যন্ত ১০টি পয়েন্টে এ কার্যক্রম চলবে। পর্যায়ক্রমে কুমার নদের সকল অংশজুড়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, পরিচ্ছন্নতা অভিযানের পর কুমার নদে কেউ ময়লা আবর্জনা ফেললে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া নদীর দুইপাড়ে অবৈধ দখলে থাকা স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হবে। ফরিদপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী ছিল কুমার নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনা ও নদের পানি ব্যবহারযোগ্য করে তোলা। এ কার্যক্রমের ফলে অচিরেই কুমার নদ তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে আশা করছে ফরিদপুরবাসী।
[মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর
দৈনিক জবাবদিহি
প্রকাশ: শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩, ৬:০১ অপরাহ্ন]
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস